Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

Responsive Advertisement

ভালোবাসার প্রেমের গল্প | The Love Story

ভালোবাসার প্রেমের গল্প | The Love Story



--তুমি কি আসবা?

--হ্যা এইতো পৌঁছে গেছি। পাঁচ মিনিট লাগবে।
--তোমার পাঁচ মিনিট কি এখনো শেষ হয় না?
--না এইবার ঠিক।
--যদি লেট হয় বুইঝো কিন্তু।
--আাচ্ছা।
নিউ মার্কেট এর বলাকা হলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে রিয়া।সেখানে অনিকের জন্য অপেক্ষা করছে তার আসার নাম গন্ধ নাই। এর মধ্যে রিয়ার বান্ধবীর কল আসলো।
--কিরে কই?
--বলাকার সামনে।
--ওইখানে কি?
--বলছিলাম না?
--তুই সত্যি গেলি?
--হুম
--কেন?
--জানি না।
--তোরে না বললাম ওরে আসতে বলতে?
--বলছিলাম, ও বললো আমার তো অনেক দূর হয়ে যায় তুমি এক কাজ কর, তুমি একটু এগিয়ে আসো,আমি ও একটু আসি।
--ভালে করছোস তো কই যাবি?
--দেখি আসুক আগে।
--ওকে। But be Careful.
-- হুম আচ্ছা রাখি।


এতক্ষণ রিয়া তার বান্ধবী প্রাপ্তির,সাথে কথা বলছিল।আজ রিয়া এবং অনিক দেখা করবে। প্রাপ্তি রিয়াকে সাজেশন দিয়েছিল অনিককে মিরপুরের দিকে আসতে বলার জন্য। কিন্তু অনিক জানায়, তার নাকি যেতে পবলেম হবে।সে অনেক দূরে থাকে।তাই আজ রিয়া গিয়েছে দেখা করতে।রিয়া পরনে কালো ভোরকা, সাদা ও গোলাপি মিস্ক একটা ওড়না দিয়ে হিজাব করা ছিল।

কিছুক্ষণ বাদে অনিক আসলো,,পরনে ছিল,,,সাদার মধ্যে ব্লু কালারের ছাপা,ব্লু জিন্স, হাতে ঘড়ি।অনিককে দেখে রিয়া সামনে এগিয়ে যায়।অনিক প্রথমে তা খেয়াল করে নি। পরক্ষনেই দেখলো রিয়া তার ডান পাশে। নীলক্ষেতের সামনে থেকে একটা রিক্সা নিয়ে # কার্জনহলের জন্য রওনা হল।

রিয়া আগে কখনও কার্জনহল যায় নি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরিক্ষার সময় ইডেন কলেজে সিট পরেছিল।কিন্তু তবুও জেতে পারে নি।রিয়া তার বাবাকে কয়েকবার বলেছিল কিন্তু সময়ের অভাবে আর নেওয়া হয় নি।
রিক্সা নেমে গেটে দাঁড়িয়ে ছিল রিয়া। অনিক ভাড়া দিয়ে আসলো এবং তারা হাঁটতে শুরু করলো,,,অনিক একটু নাভার্স ছিল।রিয়া বুঝতে পেরে অনিকের হাত ধরে রাখলো। তা এক অন্য রকম অনুভুতি যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।

তারা দু’জন ভালোই ঘুরলো, পুকুরপাড়ে বসে গল্প করলো,কেন্টিনে গিয়ে কিছু খেলো।আরও কিছু সময় বসে গল্প করলো। রিয়া একটা সময় বাসার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়লো।গাড়িতে উঠিয়ে অনিক বলে,”বাসায় গিয়ে মেসেজ দিবা”। উত্তরে রিয়া শুধু মাথা ঝাকালো। বাসে বসে রিয়া অনিককে নিয়ে ভাবতে লাগলো।এটা একটি অন্য রকম অনুভূতি, বিশেষ করে যখন অনিকের হাতটা ধরে ছিল।
অনিকের হাইট বেশি না ৫’৫হবে। সে একটু কালো।নাক ছড়ানো,বড় কপাল,আর সবচেয়ে মুগ্ধকর হল তার চোখ। তার চোখে কেমন জানি এক মায়া আছে। এ মায়া সহজে কেটে যাওয়ার মায়া না।

অনিকেরা পাঁচ ভাইবোন।দু বোন ও বড় ভাইয়ের বিয়ে
হয়ে গেছে।এখন শুধু অনিক ও তার বড় এক ভাই বাকি আছে। পড়ালেখা শেষ করে বসে আছে।কতগুলো ইন্টারভিউ দিয়েছে তার কোন শেষ নাই। চাকরি আর হচ্ছে না। এর মধ্যে রিয়ার প্রেমে পরে গোছে সে।অনিকের জীবনে নতুন এক অধ্যায় জন্ম নিল সেটা হল রিয়া।

রিয়াকে সে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখেছিল।সাদা ও ব্লু কম্বিনেশনের শাড়ি পরা ছিল। অনিক রিয়াকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়।কিন্তু রিয়ার সাথে কথা বলতে পারে না,কেননা রিয়া তার পরিবার সহ এসেছিল। 

রিয়া বিয়েতে তোলা ছবিটি ফেসবুক প্রফাইলে দিয়েছিল,এবং কভার ফটোতে তাদের গ্রুপ ছবি ছিল।অনিক তার বন্ধুর দ্বারা খোজ নেওয়ায় কিন্তু রিয়ার কোন নাম গন্ধ পায় না। হতাশ হয় অনিক। তার কয়েকদিন পর, অনিক ফেসবুকের News feed দেখছিল তখন একটি ছবি দেখে থেমে যায়। ছবিটা রিয়ার ছিল, তৎক্ষনাৎ সে আইডি তে রিকুয়েস্ট দেয়। দুই দিন পর রিকুয়েস্টটি এক্সসেপ্ট হয়।অনিক শুরুতে নক করে।


--হাই
--হেল
--কেমন আছো?
--ভালো আপনি?
--কি করো?
--কিছু না।
--কিসে পড়?


প্রফাইলে দেওয়া আছে বলে রিয়া অফলাইনে চলে যায়।
অনিক রিয়ার প্রফাইল অগেই দেখছে,বিশেষ করে রিয়ার প্রতিটা ছবি।রিয়া মিরপুর আইডিয়াল গাল্সে অনার্স করছে,ইংলিশ সাবজেক্ট এ।রিয়া অনলাইনে আসার পর অনিক রিয়াকে আগে নক করতো,আস্তে আস্তে তাদের বন্ধুত্ব হয় এবং বন্ধুত্ব টা ভালোবাসার রুপ নেয়।

তাদের সম্পর্কের যখন ছয় মাস তখন তারা দেখা করার সিধান্ত নেয়। অনিক রিয়াকে জিজ্ঞেস করে কি নিয়ে আসবে? রিয়া বলে “একটা নাকফুল” জবাবে অনিক বলে
--তেমাকে একটি গোল্ডের নাকফুল দিব।
--না আমাকে ফুটপাত থেকেই একটা সাদা পাথরের নাকফুলটা কিনে দিও।

আচ্ছা ঠিক আছে দিব।
কিন্তু দূরভাগ্য বসতো অনিক আর রিয়া যেদিন দেখা করলো অনিক রিয়ার জন্য নাকফুলটা আনে নি। বাসায় পৌঁছে রিয়া অনিককে মেসেজ করলো,,,,
--আমি পৌঁছে গেছি, তুমি?
--আমিও
--হুম তবে তুমি কিন্তু আনো নি।
--কি?

--আমার চাওয়া নাকফুল।
--ওও আমি ভূলে গিয়েছিলাম। আচ্ছা বলতো মেয়েরা নাকফুল কেন পরে?
--কি জানি আমার জানা নেই।
--হুম।তাহলে শোন, স্বামীর মঙ্গলের জন্য।
--বাহ্ তোমাকে কে বলছে??
--আমি জানি,
--হুম দেখি অনেক কিছুই জানো?


--হুম জানি তো।আচ্ছা শোনো,নাকফুলটা কিন্তু আমি পরাবো।আর পরার সময় নিয়ত করে নিবা।
--কিসের নিয়ত? কেমন নিয়ত?
--হাজবেন্ডের যেন কোন সমস্যা না হয়,অথবা কোন ক্ষতি না হয়।
--আমার তো বিয়ে হয় নি।

--হয় নি তো কি হয়েছে হবে। আর আমার সাথেই হবে।সো আমার বউ আমার নামের নাকফুল পরবে কোন সমস্যা?
--নাহ কোন সমস্যা নাই। আগে নিয়ে আসো তারপর পড়বো। আচ্ছা রেস্ট নাও।
--ঠিক আছে।

রিয়া ও অনিক সারাদিন মেসেজে কথা বলতো। মেসেজ কিনে রাখতো।কি করে না করে, কোথায় যায় এগুলো সব একজন অন্যজনকে জানাতো। যখন একটি মেয়ে ও ছেলে সম্পর্কে থাকে সেই সময়টা জীবনের সুন্দর মুহূর্ত্ব থাকে তাদের ও তেমনই।

অনিক ও রিয়ার আরো দু’বার দেখা হয়। একবার অনিক আসেছে একবার রিয়া গিয়েছে।অন্য আট দশটা রিলেশনের মতো এদের রিলেশন ছিল না।যেখানে অন্যরা কয়েকদিন পর পর দেখা করে, কিন্তু এদের রিলেশনশিপ অনেকটা long distance relationship এর মতো হয়ে যায়। যেখানে কথা ঠিকিই হয় কিন্তু দেখা হয় না।এ দুবার দেখার সময় ও অনিক রিয়ার জন্য নাকফুলটি আনতে পারলো না। জিজ্ঞেস করায় বলে
--ভূলে গিয়েছি।

--ওহ্
--তুমি কিনে নিলেই তে পার?
--আমি কিনতে পারবো না বলে তোমাকে বলি নি,আমি তোমার কাছে চেয়েছি,তেমার হাতে পড়তে চাই। তোমার নামের নাকফুল চেয়েছি।
--হুম বুজতে পেরেছি। নেক্সট টাইম আনবো।
--মনে থাকবে তো? হা থাকবে।

অনিক আর রিয়া তাদের কাজ, পরিক্ষা,নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। এর মধ্যে একদিন রিয়াকে দেখতে ছেলেপক্ষ আসলো।রিয়াকে ভালোভাবে দেখলো এবং চলে গেল। ঘন্টাখানেক পর জানালো মেয়ে তাদের পছন্দ। রিয়া যখন জানতে পারলো মাথায় বাজ পড়লো তার। তৎক্ষণাৎ অনিককে জানালো। অনিক বললো
--কি করবা?

--আমি বুঝতিছি না, তুমি বল
--বাসায় আমাদের বিষয়ে জানিয়ে দাও।
--জানিয়ে দিব?
--হ্যা দাও।

রিয়া তার মাকে অনিক আর তার সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয়।তার মা খুব বাজে ব্যবহার করে। কেননা তিনি মেয়েকে সকল সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন।কোন কিছুর কমতি রাখে নি। রিয়ার বংশে মধ্যে রিয়ার আলাদা সম্মান আছে। ওর চরিত্রে কেউ আঙুল তুলতে পারবে না। খুব নন্ম ভদ্র মেয়ে তার। আজ যখন জানলেন মেয়ের সম্পর্ক আছে তিনি ঠিক থাকতে পারে নি।

কোন মতো উনি শান্ত হলেন এবং এবিষয়ে কি করা যায় তা নিয়ে চিন্তিত হলেন । রাতে তিনি রিয়ার বাবাও ভাইকে জানান,সাথে সাথে রিয়ার ছোট বোন ও ভাবিও এবিষয়ে জেনে যায়।

ঘন্টাখানেক পরে রিয়া কে তাই ভাই ডেকে জেরা করে, কই থাকে? কী করে? ফ্যামেলীতে কয় জন? পড়াশুনা কতদূর,ইত্যাদি ইত্যাদি। সকল কিছু জানার পর তাকে রুম থেকে পাঠানো হয়। সবচেয়ে আবাক করার বিষয় হল, রিয়ার বাবা কিছু বলে নি, এতবড় কথা জানার পরও তিনি স্বাভাবিকভাবেই আছেন। রিয়া এ বিষয়ে অনিকের সাথে কথা বলেছিল।সে বললো,,

--তুমি শুধু শুধু চিন্তা করছো, কিছু হবে না
--তুমি বুঝতিছো না,, আব্বা যে নরমাল আছেন এটাই আমার চিন্তা। বকা দিলে সমস্যা ছিল না।
--হুম,তুমি চিন্তা করো না ঠিক হবে।
--হুম,

কয়েকদিন পর সবাই নরমাল হয়ে গেছে। কিন্তু কোন কিছু হলে রিয়ার ভাই রিয়াকে কথা শুনাতে থামতো না। কিছু হলেই রিলেশন নিয়ে কথা শুনাতো, এখানে রিয়ার বাবা রিয়াকে সাপোর্ট দিশেছে। তিনি যদিও প্রকাশ করেন নি সবার সামনে মেয়েকে সাপোর্ট করেছেন। রিলেশনশিপ এা বেপারে না, মানসিক সাপোর্ট।

রিয়া অনিককে কয়েকবার বলে বাসায় কথা বলতে, অনিক কোন না কোন বাহানায় এরিয়ে যায়। এর মধ্যে অনিকের জব হয়,কিন্তু রিয়া তা জানে না। তাদের মধ্যে কমিউনিকেশন গ্যাপ চলে আসে।

অনিক আগের মত নেই। সে অনেক পাল্টে গেছে। রিয়া ফোন দিলে ধরে না, কথা হয় না। ভালোবাসা কেমন জানি ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। রিয়া ভেবেছিল হয়তো কাজের চাপে এমন করছে,,কিন্তু সে ভাবতে পারলো না তার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।

অনিক আর রিয়ার কথা নাই প্রায় চার মাস, অনিকের আগের নাম্বারে ফোন করতো প্রতিনিয়তো বন্ধ বলতো। অনিক কে ফেবু তে জিজ্ঞেস করায় বলতো কেন নাম্বার তো খোলাই আছে,মানে মুখের ওপর মিথ্যা যাকে বলে আর কি।এতদিনে রিয়া বুঝে গেছে অনিক তার থেকে সরে যেতে চায়।

একদিন অনিক নিজ থেকে নক দেয়,
--রিয়া আমার মোবাইল নষ্ট ছিল এত দিন,
--ভাল
--কেমন আছো?

--ভালো,আরও কিছু কথা বলে
অফলাইনে চলে যায়।কারণ সে জানে অনিক মিথ্যা বলেছে। এযুগে কারও মোবাইল নষ্ট হয়ে কিন্তু বিকল্প কোন মোবাইল ব্যবহার করছে না? আর ঠিক করতে চার মাস লাগছে এটা বিশ্বাস করার মতো কথা না।যখন জিজ্ঞেস করলো বাসার সবাই কিভাবে যোগাযোগ করে? উত্তরে বলে অনলাইনে। what a joke. রিয়া তার কাছে কোন কৈফিয়ত চায় নি, কারণ রিয়া জানে জিজ্ঞেস করেও লাভ নেই।
রিয়া অনিককে জিজ্ঞেস করেছে আমাকে বিয়ে করবা? উত্তরে বললো,দেখো এখন পারবো না।

অনিক রিয়াকে দেখা করার জন্য বলেছিল।রিয়া রাজি হয়েছে।রিয়া যখন দেখা করার কথা বলতো অনিক এরিয়ে যেতো।অনিকের ভাবে বোঝা যাচ্ছিল সে রিলেশন রাখতে চায় ন।রিয়া বুঝেও না বুঝার ভান করতো।অন্য মানুষের সম্পর্ক দেখলে রিয়া কান্না করতো।কারণ অনিক আর তার সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না।রিয়া অনেকবার সরাসরি জিজ্ঞেস করেছিলো কিন্তুঅনিক সরাসরি কোন উত্তর দেয় নি। একদিন একটু ঘুরিয়ে বলেছিল “যখন দেখো কেউ রিপ্লাই করে না তাহলে কেন তাকে নক করো?করবা না,”, তখন রিয়া বুঝে নি কথাটা কেন বলছে এখন সব বুঝে কেন বলছে।

রিয়া পরদিন তার বান্ধবী প্রাপ্তিকে নিয়ে মার্কেটে যায়।একটা পান্জাবী, একটা মানিব্যাগ, একটা ঘড়ি,আর একটা নাকফুল কিনে।
যথাসময় ধানমন্ডি লেকে পৌঁছে যায় রিয়া,অনিক আগেই এসেছিল,রিয়া এখন অনিকের চোখে নিজের জন্য ভালোবাসা দেখে না। অনিক কেমন জানি লুকুচুরি খেলে।রিয়ার চোখে তাকিয়ে থাকতে পারে না।

--কেমন আছো?
--ভালো তুমি?
--ভালো। দেরি করলে যে?
--জ্যাম ছিল।

[আজ রিয়া ভোরকা পরে এসেছে, অনিক বলেছিল থ্রি-পিছ এ আসতে,রিয়া মানে নি। ভোরকা পরা শুরু করার পর থেকে সে কখনো সিভিলে বের হয় নি। অনিক চেক শার্ট ও ব্লু জিন্স।]
--আজ তোমাকে কিছু দিব মানা করবে না।
--কি দিবা?
--যা দিব তাই নিতে হবে,
--ঠিক আছে।

রিয়া একে একে সব গুলো দিল এবল বললো
--শোনো এগুলো আমি অনেক শখ করে কিনেছি আশা করি ভালো লাগবে।আমাদের দু’বছরের রিলেশনে আমি তো কিছু দিতে পারি নি,,এটা আমার তরফ থেকে তোমার জন্য। [রিয়া নিজেরব্যাগ থেকে নাকফুলট বের করে ]দেখ আরেকটা জিনিস কিনসি।
--কি সেটা।

--এইযে নাকফুল,
--ওহ(অবাক হয়ে)
--জানো এক সময় আমি এটা চেয়েছিলাম,, কেন জানো?আমি ধরে নিয়েছিলাম আমি তোমারই বউ হবো, কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস দেখো এটা তোমার থেকে পাওয়া হল না। #না_পাওয়া_নাকফুল আমি তার কাছেই চাইলাম যে আমাকে এটার অধিকার দিতে পারবে না। কারণ কি জানো,, সে সময়ের প্রয়োজনে আমার কাছে এসেছে, প্রয়োজন শেষ সে ও চলে যাচ্ছে। হয়তো এই কারণেই বিভিন্ন অযুহাত দেখানো হয়েছে।

আগে যদি বুঝতাম একটু একটু করে সরে যাচ্ছ তাহলে হয়তো মনের দরজায় সিটকিলি দিতাম।কি করবো বল আমি তো নাটক করি নাই। মিথ্যে বলি নাই।
--আমি কবে নাটক করলাম? মিথ্যে বললাম?
--একটু হেসে।

আমার মোবাইল নষ্ট ছিল চার মাস ধরে,ঠিক করলাম কয়েকদিন হয়েছে।সবাই অনলাইনে যোগাযোগ করে, কিন্তু আমিই একমাত্র পাই না।নাম্বার বন্ধ কে বললে বলে খোলাই আছে,যদিওবা কল ডুকতো রিসিভ হতো না। আর পালটা কখনো ফোন কর নি। এসব কথা যখন রিয়া বলছিল অনিকের মুখটা কেমন জানি হয়ে গেছে। রিয়া ধরে ফেলেছে এতদিন অনিক মিথ্যার পর মিথ্যা বলছে।
--দেখো আমি আসলে

--আমি যখন অনলাইনে আসতে বলতাম তখন তো আসতে না, বলতে আমার ভালো লাগে না। আর এখন অনলাইনে কি কর?
কার সাথে এত আলাপ করো?আমি তোমাকে কতবার বলেছিলম আমার কোন ভূল হলে বলো, কি বলছো কখনো? আমার সব কাজ যে ভালো লগবে তা তো না। 

আমার দ্বারা ও ভূল হতে পারে।কখনো বলছো রিয়া তোমার এই কাজটা আমার ভালো লাগে না,একটু শুধরে নিও? আমি কতবার জিজ্ঞেস করলাম বল নি।তোমার কি মনে হয় তোমার অবহেলা আমার চোখে বাঁধে না? তুমি মুখে না বললেও মনে মনে তো এটাই চাও যে তোমাকে মুক্তি দেই।যাও দিলাম।

--আমি কি বলছি এসোব?
--না তোমার ভাবে বুঝাইছো
--দেখ আসলে,,
--থাক কিছু বলতে হবে না, অন্যকে কাউকে কখনো এভাবে নাকফুলের কথা বলে ঠকিয়ো না। কথাটা বলে রিয়ে চলে আসলো পিছনে ফিরে তাকায় নি।
সমাপ্ত।

Post a Comment

0 Comments